Friday, October 31, 2008

বসন্ত




ভেসে ভেসে হেমন্তের পর
এসেছে বসন্ত,
রঙে রঙে ভরে যায় আমার স্বদেশ
সবার কন্ঠে ছড়ায় সেই সুরের আবেশ।

পুষ্পের বাগানে চলে বিপুল সমারোহের সাজ;
বাসন্তী দিয়ে গেল ব্যাকুল বসন্তের সুরভী আজ,
কোকিল ছড়িয়ে দিয়ে গেল তার সুরের মুর্ছনার আমেজ।

ছন্দে ছন্দে দোলে মন-নাচে অন্তর,
আনন্দ ছড়িয়ে গেল সারা দেশের পথ-প্রান্তর।
আনন্দের ঝর্ণাধারা বয়ে যাক সবার জীবনে,
বসন্ত নামুক বাসন্তীর সুবাস ভরা মানুষের কল্যাণে।

Monday, October 20, 2008

বৈশাখের শুভেচ্ছা

বৈশাখের নতুন বাতাসটা আজ
মিষ্টি দোলা দিয়ে বলে গেল।
বৈশাখ এলো বলে।।
তোমরা সবাই সাজ নতুন করে
ভালবাসার রঙে মাধুরী মিশিয়ে
সব দুঃখ ভুলে গিয়ে
আজ এই বৈশাখী উৎসবে।
এসো গাই গান ,করি নৃত্য
আঁকি ভালবাসার বৃত্ত।
শোন বৈশাখ এলো বলে।
সাদা আর লাল রঙের শাড়ি পরে
ঐ দেখ লালন কন্যারা নৃত্য করে
খোপায় ফুলের মালা পরে,
গালে আঁকে আল্পনা
গায় গান হেলে দুলে
করে বৈশাখকে আমন্ত্রণ,
বলে গান,
“এসো হে বৈশাখ, এসো....এসো” ।
ধুয়ে মুছে দিয়ে যাও সব অশান্তি
শান্ত কর এই পৃথিবীকে অশান্তির হাত হতে
ভালবাসার বন্ধনে বাঁধা হোক সবার জীবন
এই বৈশাখের শুভেচ্ছান্তে ।
.....................০............................





উনসত্তরের বৃদ্ধ

আমার দেখা উনসত্তরের এক বৃদ্ধ
মাথায় তার সাদা চুল ভ্রু গুলো সাদা,
দাঁড়ি তার আরো ও সাদা মুখে বলি-রেখা।
চোখে দেখে না ভালো কি জানি কি ভাবে,
সারাক্ষণ অন্য মনস্ক হয়তো বা সেই কারণে।
আর কত বাঁচবো আমি সুন্দর এই ধরাতে,
পরিবারের সবাই তার দেখা শুনা করে;
একটু উনিশ বিশ হলেই বকাঝকা করে।
আমার দেখা উনসত্তরের এক বৃদ্ধ,
ছেলে মেয়ের মধ্য মণি ছিল যে বাবা;
আজ তার একোন দশা যায় না তো ভাবা।
বাবা যখন অফিস থেকে বাসার মধ্যে আসতো,
দৌড়ে এসে সবাই তার হাত খানা ধরতো।
খোকা-খুকু বলে যখন বাবা কাছে ডাকতো,
ছুটে এসে তারা তখন বাবার বুকে পড়ত।
আজ বাবা উনসত্তরের এক বৃদ্ধ…
যত ডাকে কাছে ,তারা দূরে সরে থাকে
এই যদি হয় পরিণতি ছেলে-মেয়ের কাছে ,
মনের দুঃখে বাবা তাই বৃদ্ধা আশ্রম খুঁজে।
...............................০..........................